বেতাগীতে প্যানেল চেয়ারম্যানের দাপট !
বরগুনার বেতাগীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ‘ওয়াপদা বেড়িবাঁধ’ দখল করে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে বাগান ও কৃষিক্ষেত তৈরী করা হয়েছে। এমনকি রাস্তার দুই প্রান্তে টিন দিয়ে প্রাচীর তৈরী করা হয়েছে, যার ফলে ওই এলাকার লোকজনসহ ওই কাঁচা রাস্তায় গাড়ি চলাচল পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের দেশান্তরকাঠী গ্রামে এমনই এক কান্ড ঘটিয়েছেন ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিবিচিনি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান (ইউপি সদস্য-৯ নম্বর ওয়ার্ড) মজিবুর রহমান খন্দকার। ওয়াপদার জমি দখলের বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়,‘ ওয়াপদার বেড়িবাঁধের এক কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে দুই পাশে সারিসারি কলা, আমড়া ও পেঁপে গাছ, রাস্তার মধ্যের অংশে রয়েছে ঢেড়ঁশ, পুঁইশাকসহ নানা ধরণের সবজির চাষ। দেখলে মনে হবে এটি রাস্তা নয়, যেনো একটি ফল ও সবজির বাগান। রাস্তার দুই প্রান্তে রয়েছে কাঁঠ ও টিনের তৈরী প্রাচীর। রাস্তা দিয়ে কোনো গাড়ি তো দূরে থাক মানুষ ঢোকাই দায়।’
ওয়াপদার বেড়িবাঁধ দখল করে বাগান নির্মাণের বিষয় ওই আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুর খন্দকার বলেন,‘ আমি ওয়াপদার রাস্তায় গাছ লাগিয়েছি সত্য। রাস্তার দুইপাশ আটকিয়ে দিয়েছি যেনো গরু-ছাগল ঢুকে বাগানে ক্ষতি না করতে পারে। তবে পুরো এক কিলোমিটারে আমি একা বাগান করিনি, অনেকেই গাছ লাগিয়েছেন। নরু খন্দকার, সিদ্দিক, আনোয়ার, জসিম, ফোরকান খন্দকার , রিপন ডাক্তার, সুমন এরা সবাই নিজ নিজ জমির সামনেই দখল করে গাছ লাগিয়েছেন। তাছাড়া এই রাস্তা দিয়ে তেমন একটা লোকজন আসা যাওয়া করেনা।’
এ বিষয়ে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন,‘ পাউবোর জমি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দখল করার কোনো সুযোগ নেই। ঘনাস্থল পরিদর্শণে পাউবো থেকে শিকগিরই লোক পাঠানো হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন,‘ পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এবিষয় বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন ,‘আমি এ বিষয় কিছু জানি না, তবে ঘটনা সত্যি হলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
